বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কিছুদিন আগে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বাধাগ্রস্ত হয়। ধারণা করেছি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়পোযোগী সিদ্ধান্তে সবার সহযোগিতায় সাত দিনে বিদ্যুৎকে নিরবচ্ছিন্ন জায়গায় নিতে পেরেছি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি ক্ষেত্রে বাধা এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রতিটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। বেড়েছে জ্বালানির দাম। উন্নয়নশীল দেশ হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হয়েছে। জ্বালানি সমস্যার সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সঞ্চালনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিল্যাইবেলিটি, এফোর্ডেবিলিটি এবং নিরবচ্ছিন্ন পাওয়ার এনার্জি পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য শুধু অর্থ সংস্থান হলেই হবে না, টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রতিটি দেশ জ্বালানিব্যবস্থা কেমন হবে, তা নতুনভাবে চিন্তা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকার চেষ্টা করছে অন্তত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ শতাংশ যেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি করা যায়। সেটা মাথায় রেখে নেপাল থেকে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।সঞ্চালন লাইন করে আরেক দেশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ আনতে পাঁচ থেকে আট বছর সময় লাগে। কিন্তু জ্বালানি খরচ ২০ বছর একই থাকবে, এ কারণে আনা হচ্ছে। ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।